বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে মেঘালয়ের তুষার-শুভ্র মেঘপুঞ্জ ও নীল গারো পাহাড়ের স্বপ্নপটে, মানস সরোবর থেকে হিমালয় ছুঁয়ে নেমে আসা ব্রহ্মপুত্র এবং ভোগাই, নিতাই, কংশ, সোমেশ্বরী ও মালিঝির মত অসংখ্য জলস্রোতের হরিৎ উপত্যকায় গড়ে ওঠা প্রাচীন জনপদ শেরপুর। শেরপুর থেকে জামালপুর পর্যন্ত ১০ (দশ) মাইল প্রশস্ত ব্রহ্মপুত্র পারাপারের জন্য কড়ি নির্ধারিত ছিল দশকাহন। এ থেকে ব্রহ্মপুত্র উত্তর-পূর্ববর্তী পরগনার নাম হয় দশকাহনীয়া বাজু। অনুমিত হয় খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতকে এ বাজুর জায়গীরদার হয়ে গাজীবংশের শের আলী গাজী বর্তমান গাজীর খামার বা গড়জড়িপা হতে ২১ বৎসরকাল তাঁর শাসনকার্য পরিচালনা করেন। আর এই কিংবদন্তি শাসকের নামে এ এলাকার নামকরণ করা হয় শেরপুর। আর এই শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের মধ্য বয়ড়া মৌজায় শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অধীনে ৪০ টি উপজেলায় ৪০টি টিটিসি ও চট্টগ্রামে ০১টি টেকনোলজি স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় গড়ে উঠেছে শেরপুর সদর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ০২ নভেম্বর ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ ( ১৮ কার্তিক ১৪২৫ বঙ্গাব্দ) তারিখে শেরপুর সদর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই ( ১৩ শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ) তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির শুভ উদ্বোধন করেন। ২০২৩ সাল থেকে অত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি বিশ্ব বাজারে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে। অত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বিশ্বশ্রম বাজারে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরীর লক্ষ্যে ও বর্তমান সরকারের ভিশন-৪১ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।ছয়টি ট্রেডের মাধ্যমে বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করা সহ বিদেশগামী কর্মীদের প্রাক বহির্গমন প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস